যশোরে ২০ লাখ টাকা চাঁদাবাজির ৬ বছর পর আওয়ামী লীগের ১১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। সদর উপজেলার ছোট হৈবতপুর গ্রামের আব্দুল আলিম তরফদারের কাছ থেকে এ চাঁদা আদায় করে সন্ত্রাসীরা। বৃহস্পতিবার ভুক্তভোগী আব্দুল আলিম এ মামলা দায়ের করেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া অভিযোগের তদন্ত করে পিবিআইকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন।
মামলার আসামিরা হলেন, সদর উপজেলার বড় হৈবতপুর গ্রামের মৃত আব্দুল হক খানের ছেলে লতিফ খান, মৃত নূর মোহাম্মদের ছেলে মকবুল মেম্বর, ইউনুচের ছেলে ইউসুফ, শামসুলের ছেলে রশিদুল, শের আলী মন্ডলের ছেলে দেলোয়ার মন্ডল, আলী আহম্মেদের ছেলে ভুট্টো, লৎফরের ছেলে ইরমান, ওসমানের ছেলে সাইফুল ওরফে বাহাদুর, শান্তি পাইকের ছেলে কৃষ্ণপদ, মৃত নিতুর ছেলে শক্তি ও গোপাল চন্দ্রের ছেলে কর্তিক কুমার।
মামলায় বলা হয়েছে, আসামিরা তৎকালিন আওয়ামী লীগের স্থানীয় পর্যায়ের নেতাকর্মী। ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মী হওয়ায় আসামিরা এলাকায় ব্যাপক সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়েছে। ছোট হৈবতপুর গ্রামের আব্দুল আলিম তরফদার বিএনপির রাজনীতি করায় তার উপর চরমভাবে ক্ষিপ্ত হয় এবং ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদার এ টাকা না দেয়ায় ২০১৮ সালের ২৮ ডিসেম্বর আসমিরা তার বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর চালায়। এসময় তারা বাড়ির সামনের দোকান থেকে ২০ লাখ টাকা নিয়ে যায়। এর পরের বছর ২০১৯ সালের ৩ মার্চ আসামিরা তার গরু বিক্রির ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা নিয়ে যায় চাঁদা হিসেবে। ২০২০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি আসমিরা চাঁদা হিসেবে তার জমি বিক্রির ৭ লাখ টাকা নিয়ে যায়। ২০২১ সালের ১০ মার্চ আসামিরা জমি বন্দকের ৭০ হাজার টাকা নিয়ে যায়।
এছাড়া, আসামিরা বিভিন্ন সময়ে আব্দুল আলিম তরফদারের কাছ থেকে চাঁদা হিসেবে ১২ লাখ টাকা জোরপূর্বক নিয়ে যায়। তারা প্রভাবশালী হওয়ায় ওই সময়ে মামলা করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু বর্তমানে পরিবেশ অনুকূলে আসায় তিনি আদালতে এ মামলা দায়ের করেছেন।
খুলনা গেজেট/এমএম